ঝিনাইদহে এক মাসে লাশ উদ্ধারসহ ১২ খুন, সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত!
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ঝিনাইদহে ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় জানুয়ারি মাসে খুনসহ ১২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নতুন বছরে সবচে বেশি খুন হয়েছে শৈলকুপায়। ইউপি নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ, সামাজিক দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শৈলকুপায় খুনোখুনি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত পহেলা জানুয়ারী শৈলকুপার ভাটবাড়িয়া গ্রামে খুন হয় জসিম উদ্দীন। ৫ জানুয়ারী একই উপজেলার কিত্তিনগর গ্রামে খুন হয় অখিল সরকার, ৮ জানুয়ারী কৃষ্ণনগর গ্রামে খুন হয় আব্দুর রহিম, একই দিন বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামে খুন হয় কল্লোল, ১০ জানুয়ারী সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে খুন হয় আওলাদ হোসেন, ২০ জানুয়ারী সদর উপজেলার বোড়াই গ্রাম থেকে নাজির উদ্দীনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২২ জানুয়ারী শৈলকুপার সারুটিয়া গ্রামে খুন হয় মেহেদী হাসান সবুজ ও ২৪ জানুয়ারী কালীগঞ্জের পীর আলী নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় অন্তত ৪ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে এসব লাশের ময়নাদন্ত করে আত্মহত্যা করে বলে রিপোর্ট আসে। এদিকে নতুন বছরের প্রথম মাসেই ঝিনাইদহের বিভিন্ন সড়কে ১১জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন অন্তত ৫০ জন। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর মতে গত ৪ জানুয়ারী কালীগঞ্জের মধুগঞ্জ এলাকায় নিহত হন আব্দুস সালাম, ৫ জানুয়ারী মহেশপুরের সেজিয়া নামক স্থানে নিহত হন আমির হোসেন, ১০ জানুয়ারী সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের তন্ময় নিহত হন নয় মাইল নামক স্থানে, ১১ জানুয়ারী শৈলকুপার কদমতলায় নিহত হন শাহানারা খাতুন, ১২ জানুয়ারী, ১৪ জানুয়ারী সদর উপজেলার বোড়াই নামক স্থানে নিহত হন তারিক, ১৫ জানুয়ারী মহেশপুরের জিন্নানগর গ্রামে মর্জিনা খাতুন, একই দিন ইজিবাইক থেকে পড়ে কালীগঞ্জের মোস্তবাপুরে কলেজ ছাত্রী অন্বেষা সাহা, ২২ জানুয়ারী শৈলকুপার আসাননগর গ্রামে সেনা সদস্য তরিকুল, ২৬ জানুয়ারী সদর উপজেলার মাধবপুর গ্রামে মহিদুল ও ৩০ জানুয়ারী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকায় হিমেলা বেগম নিহত হন। সড়ক মহাসড়কে অবৈধ যান বাহনের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ঝিনাইদহ ট্রফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।